রেমাল মোকাবিলায় বরিশালে ৪ শতাধিক মেডিকেল টিম প্রস্তুত
বরিশারে রেমাল মোকাবিলায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। পাশাপাশি আশ্রয়কেন্দ্রসহ স্বেচ্ছাসেবকদের প্রস্তুত রাখার পাশাপাশি মেডিকেল টিম গঠনেও জোর দেওয়া হচ্ছে। এরইমধ্যে গোটা বরিশাল বিভাগ জুড়ে সাড়ে ৪ শতাধিক মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে।
বরিশারে রেমাল মোকাবিলায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ছবি: সময় সংবাদ
শাকিল মাহমুদ
১ মিনিটে পড়ুন
শনিবার (২৫ মে) বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. শ্যামল কৃষ্ণ মন্ডল বলেন, সম্ভাব্য দুর্যোগ মোকাবিলায় এরই মধ্যে ৪৭০-৪৭২ টির মতো মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। যারা দুর্যোগকালীন ও পরবর্তী সময়ে সাধারণ মানুষকে চিকিৎসা সেবা প্রদান করবেন। বিভাগের হাসপাতালগুলোয় পর্যাপ্ত প্রয়োজনীয় ওষুধ রয়েছে। আশাকরি কোনো সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে না।
এদিকে গোটা বরিশাল বিভাগে ৩ হাজার ৯৭৪টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছে ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি (সিপিপি) বরিশাল আঞ্চলিক কার্যালয়ের কর্মকর্তারা। তারা জানান, আশ্রয়কেন্দ্রের মধ্যে ভোলায় ৭৪৬, পটুয়াখালীতে ৭০৩, বরগুনায় ৬৪২, বরিশালে ৫৪১, ঝালকাঠিতে ৪৮৮ ও পিরোজপুরে সর্বোচ্চ ৮৫৪টি আশ্রয়কেন্দ্র রয়েছে।
সেই সঙ্গে ৬ হাজার ২৪৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ১ হাজার ৬৬টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় আশ্রয়ের জন্য খোলা রাখার ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাব পড়তে শুরু করেছে বরিশালে
এছাড়া বিভাগজুড়ে ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির (সিপিপি) ৩২ হাজার ৫০০ স্বেচ্ছাসেবকও প্রস্তুত রয়েছে। যার মধ্যে বরিশাল সদরে ৬০, ভোলায় ১৩৬০০, পটুয়াখালীতে ৮৭০০, বরগুনায় ৮৪৪০ ও পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় ১৭০০ জন সিপিপি’র স্বেচ্ছাসেবক রয়েছে। যারা ৪ নম্বর সংকেত পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সংকেত পতাকা উত্তোলন, মাইকিং দিয়ে প্রচার কার্যক্রম শুরু করবে বলে জানিয়েছেন সিপিপি’র উপ পরিচালক মো. আব্দুর রশীদ।
এ বিভাগে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির (বিডিআরসিএস) দেড় হাজারের বেশি স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রয়েছে।