BangladeshWorld

গাজায় গণহত্যা বন্ধ চান বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকরা

ফিলিস্তিনের রাফায় ইসরাইলি আগ্রাসন, নিপীড়ন ও গণহত্যার বিরুদ্ধে বিবৃতি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের সমন্বয়ে গঠিত গবেষণাভিত্তিক সংগঠন ‘এডুকেশন, রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ফোরাম অব বাংলাদেশ’ (ইআরডিএফবি)।

মহানগর ডেস্ক

২ মিনিটে পড়ুন

শনিবার (২৫ মে) ইআরডিএফবির সব সদস্যের পক্ষে যৌথভাবে বিবৃতি দেন সংগঠনটির সভাপতি বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন ও সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বদরুজ্জামান ভূঁইয়া।


বিবৃতিতে ইআরডিএফবি জানায়, ফিলিস্তিনের গাজার দক্ষিণের গুরুত্বপূর্ণ শহর রাফায় সামরিক অভিযানের নামে নিপীড়ন, আগ্রাসন ও গণহত্যা চালাচ্ছে দখলদার ইসরাইলি বাহিনী। যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী সংগঠন হামাস রাজি হওয়ার পরও এ আগ্রাসন চালিয়েছে ইসরাইল, যা ন্যক্কারজনক ঘটনা। রাফায় ইসরাইলি হামলায় উদ্বেগ জানিয়ে এটিকে ‘আরও মানবিক বিপর্যয়’ আখ্যা দিয়েছেন জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সভাপতি ডেনিস ফ্রান্সিস। ইসরাইলি বাহিনীর অভিযানে বহু হতাহতের ঘটনা ঘটেছে এবং নিহতের সংখ্যা আরও বাড়বে। গাজার বাসিন্দাদের কাছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ত্রাণ পৌঁছাচ্ছে না এবং ওই ভূখণ্ডটি দুর্ভিক্ষের মুখে পড়তে চলেছে।


এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, গাজা উপত্যকার রাফা শহরে যে কোনো ধরনের সামরিক হামলা ও আগ্রাসন অবিলম্বে বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে)। ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিকদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তারা।
 


ফিলিস্তিনে ইসরাইলের আগ্রাসনের শুরু থেকেই রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ ফিলিস্তিনের পক্ষে অবস্থান উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই নিপীড়ন, আগ্রাসন ও গণহত্যার বিরুদ্ধে বিশ্ব জনমত গঠনের উদ্দেশ্যে এরইমধ্যে নানান বৈশ্বিক ফোরামে বক্তব্য দিয়েছেন।


সবশেষ সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিয়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে ও যুক্তরাষ্ট্রে ফিলিস্তিনের পক্ষে থেকে নিপীড়নের শিকার শিক্ষার্থীদের প্রতি সংহতি জানিয়ে দেশজুড়ে ছাত্রলীগের আয়োজনে লাখ লাখ শিক্ষার্থী সংহতি সমাবেশ আয়োজন করে।


বিবৃতিতে ফিলিস্তিনে হত্যাযজ্ঞের নিন্দা ও হামলা বন্ধের আহ্বান জানানোর পাশাপাশি দেশের বেশ কিছু রাজনৈতিক দলের নীরবতার সমালোচনাও করা হয়।
 


এ বিষয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, কিছু রাজনৈতিক দল তাদের বিদেশি প্রভুদের খুশি করতে নীরবতা পালন করে চলেছে। ইসরাইলি আগ্রাসন ও গণহত্যার বিষয়ে বিএনপি-জামায়াত যে নীরব ভূমিকা পালন করছে, তা ইসরাইলকে সমর্থনের নামান্তর।


এর আগে গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন ও পলাতক আসামি তারেক রহমানের সঙ্গে ইসরাইলের লিকুদ পার্টির মেন্দি এন সাফাদির কথোপকথনের ভিডিও প্রকাশিত হয়। এই ইসরাইলি ব্যক্তি নিজেও গণমাধ্যমে এ বিষয়টি স্বীকার করে নেন। ফলে ইসরাইল ও যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন নিজেদের পক্ষে রাখতেই বিএনপি-জামায়াত ও সমমনা দলগুলো এ ইস্যুতে তেমন বক্তব্য দিচ্ছে না বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button